প্রকাশিত: ০১/০৯/২০১৬ ৮:১৪ পিএম

নুরুল আমিন হেলালী::

আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই হবে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই জেলার আনাচে-কানাচে বসবে স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাট্। তবে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর বিভিন্ন জায়গায় পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শুরু হবে পশু বিকিকিনির কাজ। এখন চলছে হাট গোছানের কাছ। এদিকে কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু-ছাগল আনতে শুরু করেছে। অন্যদিকে স্থানীয় গরুর খামারীরাও বাজারে উঠানোর আগে কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটা-তাজা করার কাজে সময় ব্যয় করছেন। অন্যদিকে কৃষকের গৃহে পালিত পশুগুলোও বাজারে উঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে কোরবানের ঈদ উপলক্ষে পুঁজি খাটানো মৌসুমী গরু ব্যপারীরা বলছে দেশের বিভিন্ন দুর-দুরান্ত থেকে এখনও পর্যাপ্ত গরু-ছাগল এসে পৌঁছাইনি। এসব পশু হাটে আসতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানান অনেক ব্যবসায়ী। জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ সেপ্টেম্বর মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। কক্সবাজারের গবাদি পশুর বৃহত্তম হাট ঈদগাঁও বাসষ্টেশন্ ও খরুলিয়ায় দেখা গেছে, পশুহাট ইজারাদাররা মহাসড়কের উপর হাট বসানোর সংস্কারকাজ করছে। রাস্তার পাশে পশু রাখার জন্য শেড তৈরী করা হচ্ছে। এছাড়া স্থায়ী হাটকে কেন্দ্র করে সড়কের দুই পাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁস-গাছের খুঁটি পোতা হচ্ছে। এছাড়া খুটাখালী, নতুন অফিস, জোয়ারিয়ানালা, কালির ছড়া, তেচ্ছিপুল, কলঘরসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বসবে জেলার বিশেষায়িত হাট। গরু ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে জেলার সব স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট পুরোদমে শুরু হতে পারে। চোরাচালান বন্ধে মায়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনী কড়াকড়ি আরোপ করায় মূলত গরু আসতে দেরী হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এরপরও ব্যবসায়ীরা আশা করছেন আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে গরুর চালান আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জনা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও জেলার স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি কয়েকটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ইজারা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

পাঠকের মতামত

আজহারীর পরবর্তী মাহফিল যে স্থানে

সিলেটে যাচ্ছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।আগামীকাল বৃহস্পতিবার আনজুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত ৩৬তম তাফসিরুল ...